দেশের খবর
ফের এক সরকারি সংস্থা টাটাদের পকেটে, বছর দুয়েকে কাজ পাবে কয়েক হাজার
ডিজিটাল ডেস্ক : সম্প্রতি দীর্ঘদিন যাবত ধুঁকতে থাকা এক সরকারী সংস্থাকে কিনে নিয়েছে টাটা গ্রুপ (Tata Group)। জানা যায় লাভের মুখ দেখা দূর, দিনের পর দিন কোম্পানিতে লগ্নি করায় সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আর এবার সেই কোম্পানির উদ্ধারকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হল টাটা গ্রুপ তথা রতন টাটা।
বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম স্টিল উৎপাদন সংস্থা হল টাটা স্টিল। এছাড়া এর আগেও তারা দেশের অনেক প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছে, কলকাতার হাওড়া ব্রিজের ইস্পাত জোগান দিয়েছিলো এই টাটারাই। কিছু দিন আগে এয়ার ইন্ডিয়া কিনে খবরের শীর্ষে থাকা রতন টাটার সংস্থাই কিনে নিয়েছে ঋণে ডুবে থাকা ওড়িশার নীলাচল ইস্পাত নিগম লিমিটেডকে (NINL) । জানা যাচ্ছে আগামী বছর জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পুর্ন হস্তান্তর হতে চলেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ওই সংস্থাকে কেনার জন্য এর আগেও বিড হয়, এবং সেখানে হাজির ছিলো জিন্দাল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড, নলওয়া স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড এবং জেএসডব্লিউ স্টিল লিমিটেড এর মত ছোট বড় অনেকেই আর একটি কনসোর্টিয়াম কে পিছনে ফেলে প্রতিযোগিতায় জিতে ওই কোম্পানির মালিকানা নিজেদের পেকেটে পুরে নেন টাটারা।
খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতেই সম্পন্ন হয় বিড এর প্রক্রিয়া। সেখানে ১২,১০০ কোটি টাকার বিনিময়ে কোম্পানির ৯৩.৭১ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণ করে টাটা স্টিল। এবার শীঘ্রই রতন টাটার কোম্পানি হাতে নেবে নীলাচল ইস্পাত নিগম লিমিটেডকে। সংস্থার এক আধিকারিক জানান আর্থিক লেনদেন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, আগামী মাসের মধ্যেই সবকিছু হস্তান্তর হয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু এই ব্যাপারে আরো একটি প্রশ্ন ওঠে যে, কোম্পানির এত পরিমাণ ঋণের কি হবে?
প্রসঙ্গত, এই কোম্পানি বিক্রির কারণই হল বিশাল পরিমান ঋণে ডুবে থাকা। বহুদিন ধরে লাভের মুখ দেখেনি এই সংস্থা, সরকার বহুবার বাঁচানোর চেষ্টা করলেও বারবারই মুখ থুবড়ে পড়ায় হাল ছেড়ে দেয় সরকারও। বিগত ২০২০ সালের ৩২ শে মার্চ থেকেই বন্ধ পড়ে আছে পুরো কারখানা।
বিগত অর্থবর্ষের টানা বার্ষিক হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৬,৬০০ কোটি টাকা দেনা রয়েছে নীলাচল ইস্পাত নিগম লিমিটেডের। তারমধ্যে রয়েছে প্রোমোটারদের বিশাল ৪,১১৬ কোটির বকেয়া এছাড়া ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য পাওনাদারদের পাওনা রয়েছে প্রায় ১,৭৪১ কোটি টাকা। এই ভাবে হাতি পুষে আর নিজেদের লোকসান বাড়াতে চায়নি ভারত সরকার। তবে রতন টাটার গ্রুপ এই সরকারি সংস্থাকে কিনে নেওয়ায় আগামী দুই বছরের মধ্যে এক বিশাল কর্মসংস্থান হবে বলেই দাবী অনেকের।
আরও পড়ুন – মায়ের আশীর্বাদই মহৌষধ! সফলতা পাওয়ার জন্য