Uncategorized
বিপুল জয়ের পর দলীয় প্রার্থী, কর্মীদের সংযত থাকার সতর্কবার্তা তৃণমূল নেত্রীর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যের ১০৮ পৌরসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল কী হতে চলেছে, তা সকলেরই জানা ছিল। ১০৮ টির পৌরসভার মধ্যে ১০৩ টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ৩১টি পৌরসভা একেবারে বিরোধীশূন্য। এগরা, বেলডাঙ্গা, চাঁপদানি ও ঝালদা পৌরসভা ত্রিশঙ্কু হয়েছে। দার্জিলিং পৌরসভার দখল নিয়েছে হামরো পার্টি। রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের জয় জয়াকারের পর টুইট করে জয়ী প্রার্থীদের এবং কর্মী-সমর্থকদের অভিনন্দন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি লিখেছেন, ‘আরও একবার আমাদের পক্ষে বিপুল রায় দেওয়ার জন্য মা-মাটি-মানুষকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। পৌরভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীদের সবাইকে অভিনন্দন’। অভিনন্দনের পাশাপাশি জয়ী প্রার্থীদের পরামর্শ এবং সতর্কবার্তাও দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘জয় আমাদের দায়িত্ববোধ, দায়বদ্ধতা ও নম্রতা বাড়াক। জয়ী হয়েও আমরা যেন বিনয়ী থাকতে পারি। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে রাজ্যের শান্তি, উন্নতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করি।’ কলকাতা ও রাজ্যের চার কর্পোরেশন ভোটের মতোই ১০৮ টি পৌরসভার ভোটেও উত্তর থেকে দক্ষিণে শুধু তৃণমূলের জয় জয়াকার। ভোটের আগেই দিনহাটা পুরসভা দখল করেছিল তৃণমূল। আজ ভোট গণনা শুরু হতেই শুরু হয় সবুজ ঝড়। একের পর এক পৌরসভায় চলতে থাকে সবুজ ঝড়। এমনকি মতুয়া গড়েও পর্যন্ত তৃণমূলের জয় জয়াকার।
শুভেন্দু অধিকারীর গড় কাঁথিও দখল করেছে তৃণমূল। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষের খড়্গপুরেও বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তৃণমূলের পক্ষ থেকেও দলের কর্মীদের বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘জয়ের উল্লাস যেন মাত্রা ছাড়িয়ে না যায়। জয়ের সেলিব্রেশনে যেন সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা না হয়। প্রত্যেকটি জয় বলে দিচ্ছে দলের কর্মী ও নেতৃত্বকে আরও বেশি করে দায়িত্বশীল, সংবেদনশীল ও সহনশীল হতে হবে। মমতা সরকারের জনমুখি প্রকল্প গুলিকে আরও তৃণমূল স্তরে নিয়ে যেতে হবে। যাতে মানুষের উপকার হয়। একদিকে জনবিরোধী কেন্দ্রীয় সরকার, আর অন্যদিকে জনদরদী রাজ্য সরকার – মানুষ যেন দুই সরকারের পার্থক্য দিনের আলোর মত পরিষ্কার করে দেখতে পান।’