বাংলার খবর
থমথমে বকটুই, অজানা আতঙ্কে গ্রাম ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সোমবার রাতে পঞ্চায়েত উপ প্রধান খুনের ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি বীরভূমের রামপুরহাটের বকটুই গ্রাম। ঘটনার পরই মঙ্গলবার আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি বাড়িতে। ঘটনাস্থলেই অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে শিশু সহ মোট আটজন। এদিকে ঘটনার পর থেকেই থমথমে পরিস্থিতি বকটুই গ্রামে। আতঙ্কে বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এই বর্বোরচিত ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। বুধবার দুপুর ২টর সময় এই মামলার শুনানি ঘোষণা করা হবে।
এদিকে এই বাংলার বুকে এই ধরণের নক্কারজনক ঘটনায় জরুরি রিপোর্ট তলব করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মর্মান্তিক এই ঘটনায় রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি এবং ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। শুধু তাই নয়, বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য সিট গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিকে ‘যখন খুন হচ্ছিল,পুলিশ পাশে ছিল। সেই পুলিশ সঠিক তদন্তে সাহায্য করবে?” প্রশ্ন সেলিমের। শুধু তাই নয়, রামপুরহাটের এই মর্মান্তিক ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বামেরা।
আরও পড়ুন: বীরভূমের রামপুরহাটে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে: পার্থ চট্টোপাধ্যায়
সোমবারের এই ঘটনায় রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে বীরভূমের ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় বিবৃতি দিতে গিয়ে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”বীরভূমের রামপুরহাটে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। কিছু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এটা বড় ধরনের একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আইসি এবং SDPO রামপুরহাটকে ক্লোজ করা হয়েছে। আইজি বর্ধমান রেঞ্জ ও বীরভূমের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সরকার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম তৈরি করেছে। এডিজি সিআইডি এর নেতৃত্বে রয়েছেন। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। সকলের কাছে আবেদন শান্তি বজায় রাখুন।”
আরও পড়ুন: স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা, শ্রীঘরে যুবক তবে এই বিষয়ে এখনও কিছু বলেননি রামপুরহাটের বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়।