'টক টু মেয়র'-এর পর এবার চালু হচ্ছে 'শো ইওর মেয়র'! শপথ নিয়েই একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম
Connect with us

দেশের খবর

‘টক টু মেয়র’-এর পর এবার চালু হচ্ছে ‘শো ইওর মেয়র’! শপথ নিয়েই একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কলকাতার ৩৯তম মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ সহ ১২ জন মেয়র পারিষদ শপথ নিলেন। মেয়র হিসেবে শপথ নিয়ে ফিরহাদ হাকিম জানান, নতুন হকার নীতি তৈরি করার পাশাপাশি, কলকাতার বায়ু দূষণ কমাতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কলকাতার জমা জল সরানো সহ সাধারণ মানুষের কাছে পুর পরিষেবা পৌঁছে দিতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মানুষের অভাব-অভিযোগ জানাতে বা পরিষেবা পেতে যাতে আর পুরসভায় না আসতে হয়, তার জন্য ‘শো ইওর মেয়র’ চালু করা হচ্ছে। এছাড়াও পুরসভার সমস্ত পরিষেবা ঘরে বসেই পেতে একটি অ্যাপও আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। প্রথমবার কলকাতার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই পুর নাগরিকদের অভাব-অভিযোগ শুনতে এবং তার সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি চালু করেছিলেন ‘টক টু মেয়র’। এবার চালু হচ্ছে ‘শো ইওর মেয়র’। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাদের অভাব-অভিযোগের কথা ছবি ও ভিডিও সহ সরাসরি পৌঁছে দিতে পারবেন মেয়রের কাছে।

সেই মেসেজ পাওয়া মাত্রই সমাধানের জন্য মেয়র তা স্থানান্তরিত করবেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে। মঙ্গলবার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ সহ মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার, তারক সিং, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, স্বপন সমাদ্দার, মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়, জীবন সাহা, রাম পেয়ারে রাম, সন্দীপন সাহা, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপ বক্সী, আমিরউদ্দিন ববিকে শপথ বাক্য পাঠ করান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন, সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, বিধায়ক তাপস রায় সহ তৃণমূলের অন্যান্য বিধায়ক ও সংসদরা। শপথ বাক্য পাঠ করানোর পর ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘মেয়র বা মেয়র পারিষদ কিংবা কাউন্সিলর হলেই চলবে না।

Advertisement

যখন ডাকি তখন পাই- এমনটাই হতে হবে। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিনিধি করে আমাদের এখানে পাঠিয়েছেন। মনে রাখতে হবে, দায়িত্ব পালন মানে মানুষের পাশে থাকা, তাঁদের সেবা করা। তাই আমরা সবাই সেবক। আর সেই সেবকদের প্রধান সেবক আমি। কলকাতাকে দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শহর করাই আমাদের লক্ষ্য। সাধারণ মানুষ যাতে কোনরকম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, তা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না। মানুষের সেবা করাই আমাদের একমাত্র ধর্ম। আমরা সকলে মিলে কাজ করব।’ এদিন মেয়র পারিষদদের দায়িত্বও বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। দেবাশিস কুমার পেয়েছেন উদ্যান, ক্রীড়া, বিজ্ঞাপন, পার্কিংয়ের দায়িত্ব।

দেবব্রত মজুমদার জঞ্জাল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে। সন্দীপরঞ্জন বক্সীর অধীনে আলো। সন্দীপন সাহা পেলেন শিক্ষা এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে সামাজিক এবং নারী কল্যাণ, রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, বার্ধক্য ভাতা। জীবন সাহা পেয়েছেন তথ্য এবং জনসংযোগ, এন্টালি ওয়ার্ক শপ। তারক সিং নিকাশি, স্বপন সমাদ্দার বস্তি ও পরিবেশ, আমিরুদ্দিন ববি বাজার, রাম পেয়ারে রাম একশো দিনের প্রকল্প, অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় রাস্তা ও ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে আবাসন, আইন এবং কর্মিবর্গ বিভাগের দায়িত্ব।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.