বাংলার খবর
তৃতীয়বারের জন্য মেয়র নির্বাচিত হয়ে চন্দননগরকে আরও ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রাম চক্রবর্তীর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : তৃতীয় বারের জন্য চন্দননগরের মেয়র হলেন রাম চক্রবর্তী। শুক্রবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পরই সদ্য ভোট হয়ে যাওয়া ৪ পুরনিগমের মেয়রের নাম ঘোষণা করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এবং আবারও চন্দননগরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন রাম চক্রবর্তী।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহন হয় চন্দননগর পুর নিগমের ৩৩ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২ ওয়ার্ডে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট স্থগিত রাখা হয়। ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩১ টিতেই জয়ী হয় তৃনমূল। বিদায়ী বোর্ডের মেয়র রাম চক্রবর্তী ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৮১৬ ভোটে জয়ী হয়ে ছয় বারের জন্য কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কলেজে ছাত্র রাজনীতি করলেও ১৯৯৫ সালে প্রথম কংগ্রেসের হয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন রাম চক্রবর্তী। ২০০০ সালে তৃনমূলের কাউন্সিলর। ২০০৫ সালে জিতে বিরোধী দলনেতা হন পুর নিগমের। ২০০৬ সালে চন্দনননগর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃনমূ্লে প্রার্থী ছিলেন। প্রায় ১৭ হাজার ভোটে সিপিএম-এর শিবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হন।
এরপর ২০১০ সালে চন্দননগরের মেয়র হন। পরেরবার অর্থাৎ ২০১৫ সালেও মেয়র হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার উপরেই আস্থা রাখেন।তবে রাম চক্রবর্তীর উপর তাঁর দলের কাউন্সিলরদের আস্থা উঠে যায়। নিজেদের কোন্দলে ২০১৮ সালে পুর নিগমের বোর্ড ভেঙে দেয় নবান্ন। পুর প্রশাসক নিয়োগ করে পুরনিগম চলতে থাকে। পুরসভা ভোট পিছিয়ে যায়।অবশেষে ২০২২ এ তৃতীয় বারের জন্য আবারও মেয়র হলেন রাম চক্রবর্তী। আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়ে রাম চক্রবর্তী বলেছেন, ‘পুর নিগমে জয়ের ডবল হ্যাটট্রিক করেছি। ধন্যবাদ দলনেত্রীকে আমার উপর আস্থা রাখার জন্য। নাগরিক পরিষেবার দিকে নজর দেওয়া হবেই প্রথম কাজ। চন্দননগরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে গত দশ এগারো ববছরে উড়ালপুল থেকে জল প্রকল্প।নাগরিক স্বাচ্ছন্দ অনেক বেড়েছে। শহরকে আরও পরিচ্ছন্ন করতে হবে। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ শুরু হয়েছে। আলো হাব হয়েছে। চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উদ্যোগে মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুৎ যাওয়ার জন্য একশ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার কাজ শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা চন্দননগরবাসী পাচ্ছেন।আমাদের কাজ হবে সেই পরিষেবা থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হন সেটা দেখা।’