বাংলার খবর
দেড় দিন পর কলকাতায় প্রত্যাবর্তন পরেশ অধিকারীর, সিবিআই দফতরে শুরু জেরা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: হাইকোর্টের কড়া হুঁশিয়ারির পর অবশেষে দেড় দিন পর শহরে প্রত্যাবর্তন করলেন শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ বাগডোগরা থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান মন্ত্রী। তবে তাঁর সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরে দেখা যায়নি কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো বিমানবন্দর থেকে মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নিজ্যাম প্যালেসে বিসিসিআই-এর দফতরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিধাননগর পুলিশ। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর দফতরে পৌঁছন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। দফরের ১৬ তলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই আধিকারিকরা মন্ত্রীকে জেরার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়ছেন বলে জানা গিয়েছে।
কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর বেআইনিভাবে স্কুলে চাকরি পাওয়ার মামলায় গত মঙ্গলবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবং কলকাতায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর দফতরে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে গত বুধবার রাত আটটার মধ্যে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেইমতো গত ১৭ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে কন্যাকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে চাপেন পরেশ অধিকারী। রেল আধিকারিকদের পক্ষ থেকেও সে কথা নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু ১৮ তারিখ অর্থাৎ বুধবার ভোররাতে হঠাৎই কন্যাকে নিয়ে বর্ধমান স্টেশনে নেমে যান মন্ত্রী। সেই ভিডিও ফুটেজও সামনে এসেছে। এরপর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপরই বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটের মধ্যে পরেশ অধিকারীকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি। তখন মন্ত্রীর আইনজীবী আদালতকে জানান মন্ত্রী তাঁকে নিজেই জানিয়েছেন যে তিনি কোচবিহারে রয়েছেন। এবং বিকেল পাঁচটা নাগাদ তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বিমান ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছাবেন।
বিকেল তিনটের হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের করা এফআইআর-এ নাম রয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী, তাঁর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী, রাজ্য সরকারের এক নামহীন কর্মী, সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন, এই মামলা সম্পর্কিত রাজ্য সরকারের অন্যান্য দফতর এবং বেশকিছু বেসরকারি ব্যক্তির। এফআইআর-এ যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪২০, ১৯৮৮ সালের প্রিভেনশন অফ করাপশন অ্যাক্টের (২০১৮ সালে সংশোধিত) সাত নম্বর ধারা ও 13 (1)(d), r/w 13(2) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।