দেশের খবর
অসমে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লুর হানা, সংক্রমণ রুখতে তৎপর প্রশাসন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: একে করোনায় রক্ষে নেই! দোসর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, টমাটো ফ্লু, নাইরোবি ভাইরাস। এবার সংক্রমণের এই দীর্ঘ তালিকায় যুক্ত হল ‘আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু’-র নাম। অসমে শূকরের দেহে এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। যা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই নয়া আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানুষের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, অসম রাজ্যের ডিব্রুগড় জেলায় প্রথম এই সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। শূকরের দেহে পাওয়া এই ভাইরাসের নাম হল ‘হেমোরেজিক’। যা একটি ভাইরাল রোগ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। নয়া ওই ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের হদিশ মিলতেই অসমজুড়ে প্রশাসনের তরফা দ্রুত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে ডিব্রুগড়ের পশুপালন ও পশুচিকিৎসা আধিকারিক ডঃ হিমান্ডু বিকাশ বড়ুয়া বলেন, যে এলাকায় প্রথম এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছে সেই এলাকার ১ কিলোমিটারের মধ্যে সমস্ত শূকর মারা হয়েছে। আমরা প্রথমে ১ কিমি পর্যন্ত এলাকাটিকে সংক্রামিত হিসাবে ঘোষণা করেছিলাম। নিয়ম অনুযায়ী, আমরা সংক্রামিত এলাকার সমস্ত শূকর মেরে পুঁতে দিয়েছি। একই সঙ্গে, আমরা পুরো এলাকাটিকে স্যানিটাইজ করেছি”।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মোদি-শাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ ধনকরের, রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে
বিশেষজ্ঞদের মতে, আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার মানুষের মধ্যে সংক্রামিত বা ছড়ায় না। যদিও এটি শূকরের জন্য মারাত্মক এবং অত্যন্ত সংক্রামক। সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের ১১ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৪০,১৫৯ টি শূকর জ্বরে মারা গিয়েছে। অসম, মিজোরাম, সিকিম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরার পাশাপাশি উত্তরাখণ্ড এবং বিহারেও আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরের ঘটনা ঘটছে।
যেহেতু এই রোগটি অত্যন্ত সংক্রামক এবং এর কোনও ভ্যাকসিন নেই, তাই সরকার বাসিন্দাদের শুকরের মাংস খাওয়া এড়াতে অনুরোধ করেছে। কেন্দ্র একটি আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার অ্যাকশন প্ল্যানেরও পরামর্শ দিয়েছে। যা সমস্ত জেলা পশুপালন কর্মকর্তারা অনুসরণ করবেন।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে যান্ত্রিক গোলযোগ, করাচিতে জরুরি অবতরণ IndiGo-র
এছাড়াও সমস্ত ডায়াগনস্টিক কেন্দ্রগুলিকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। জেলা পশুপালন আধিকারিকদের নজরদারি জোরদার করতে এবং শূকরের খামারগুলিতে জ্বর বা জ্বরে মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।