খেলা-ধূলা
মাজিয়াকে ৫ গোল, এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে এটিকে মোহনবাগান
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মাজিয়া এসসি-কে পাঁচ গোল দিয়ে এএফসি কাপের আন্তঃ আঞ্চলিক সেমিফাইনালে জায়গা করে নিল এটিকে মোহনবাগান। তবে সবুজ-মেরুনের এই সাফল্যের জন্য অবশ্যই অবদান রয়ে গেল বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস-এর। মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবেশী দেশের ক্লাবটি যদি গোকুলাম এফসি কে না হারাতো তাহলে রয় কৃষ্ণদের এই বিরাট জয়েও বাগানে উৎসবের বদলে হতাশাই বিরাজ করত। তাই এদিনের বসুন্ধরা বনাম গোকুলম ম্যাচটা এটিকে মোহনবাগানের কাছে ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচে গোকুলম জিতলে পরের রাউন্ডে পৌঁছে যেত তারাই। সেক্ষেত্রে মোহনবাগান জিতলেও পরের রাউন্ডে যেতে পারত না। কিন্তু বসুন্ধরা ২-১ গোলে গোকুলমকে হারিয়ে দিতেই এটিকে মোহনবাগানের সামনে থেকে প্রথম পথের কাঁটাটা সরে যায়। এরপর মাঠে নেমে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে কোনও ভুল করেননি কাউকো, রয় কৃষ্ণ, ম্যাকহিউরা।
মঙ্গলবার রাতের যুবভারতীতে ডু অর ডাই ম্যাচে মালদ্বীপের চ্যাম্পিয়ন মাজিয়াকে ৫-২ গোলে হারাল জুয়ান ফেরান্দোর দল। সবুজ মেরুনের হয়ে দুটি গোল করলেন জনি কাউকো। একটি করে গোল করলেন রয় কৃষ্ণ, শুভাশিস বোস এবং কার্ল ম্যাকহিউ। এই জয়ের ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে চলে গেল ফেরান্দো বাহিনী। মাজিয়ার বিরুদ্ধেও গত বসুন্ধরা ম্যাচের দলই ধরে রেখেছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ। কিন্তু মাজিয়ার গতি ও আক্রমণের সামনে শুরুতে কিছুটা হলেও দিশেহারা দেখাচ্ছিল সবুজ-মেরুনকে। মালদ্বীপের দলটির প্রাথমিক আক্রমণে বেগ পেতে হচ্ছিল সন্দেশ জিঙ্ঘান, দীপক টাংরিদের। কিন্তু মাজিয়াই মোহনবাগানকে ম্যাচে ফেরাল। ম্যাচের ২৬ মিনিটে মাজিয়া গোলরক্ষক কিরণ লিম্বু একটি নির্বিষ বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে কাউকোর পায়ে তুলে দেন। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে দিতে কোনও ভুল করেননি কাউকো। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় গোল করার মতো সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন কাউকো। ফাঁকায় দাঁড়িয়েও বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন। তবে ভুল শোধরাতে বেশি সময় নেননি তিনি। ৩৬ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে ২-০ করেন ফিনল্যান্ডের এই ফুটবলার। নিজেদের অর্ধ থেকে উড়ে আসা একটি বল কাউকোকে ব্যাক হেড করে সাজিয়ে দেন মনবীর। সেখান থেকে বল জালে পাঠাতে কোন ভুল করেননি কাউকো। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে মাজিয়ার হয়ে ব্যবধান কমান টানা।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক মেজাজকে শুরু করে এটিকে মোহনবাগান। আর তাতেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়ে যায়। তিন মিনিটের মধ্যেই দুই গোল করে জয় নিশ্চিত করে ফেলে এটিকে মোহনবাগান।ম্যাচের ৫৬ মিনিটে গোল করে ৩-১ করেন বাগানের গোলমেশিন রয় কৃষ্ণ। শুভাশিস বসুর বাঁ দিক থেকে ভাসানো লম্বা ক্রস রিসিভ করেই চকিত শটে গোল করে যান কৃষ্ণ। এর দু’মিনেটের মাথায় এবার নিজেই গোল করে ব্যবধান ৪-১ করে দেন শুভাশিস। লিস্টনের ফ্রি-কিক থেকে বাঁ পা ছুঁইয়ে গোল করেন তিনি। ৭১ মিনিটে কার্ল ম্যাকহিউ মাজিয়া শিবিরে পঞ্চম বাণটি মারেন। ডানদিক থেকে কৃষ্ণর বাড়ানো বল ধরে নিচু শট নেন ম্যাকহিউ। বল বিপক্ষ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। যদিও তার দু’মিনিটের মধ্যেই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে মাজিয়ার হয়ে ব্যবধান কমিয়ে ছিলেন টানা। তাতে অবশ্য ম্যাচের ফলাফল বদলায়নি।