উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রশাসন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আগামী পাঁচদিন উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে হাওয়া অফিসের তরফে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। এই দূর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। বুধবার রাতেই বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন পুলিশ সুপার ও পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান।

ডুয়ার্সে একটানা বৃষ্টিতে জল বাড়ছে নদী গুলোর। চিন্তায় নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এরই মধ্যে পাঁচ দিনের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। তারফলে বন্যার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে তিস্তা নদীর দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করেছে সেচ দপ্তর। পাশাপাশি জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকাতেও হলুদ সংকেত জারি করেছে সেচ দপ্তর। এই পরিস্থিতিতে নদী বাঁধের পরিস্থিতি ঠিক কেমন ও বন্যা এলে কোন এলাকার কোন ফ্লাড শেল্টারে আশ্রয় নেবেন বানভাসিরা তা দেখবার পাশাপাশি এলাকাবাসীদের মনে আশ্বাস যোগাতে বুধবার রাতেই গ্রাউন্ড জিরোতে পৌঁছে গেলেন জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। এদিন তার সাথে ছিলেন জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চ্যাটার্জী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা।

অবিরাম বৃষ্টিতে বিপদজ্জনক অবস্থায় রয়েছে মাটিগাড়ার বালাসন নদীর ডাইভার্সন ব্রিজ। সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পাহাড়ে কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির ফলে বালাসন নদীতে জলস্ফীতি ঘটেছে। যে কোনো মুহুর্তে ঘটতে পারে বিপত্তি। অকেজো হয়ে পড়তে পারে বালাসন ব্রিজের বিকল্প ডাইভার্সন ব্রিজ। তবে সেই ব্রিজ দিয়ে শুধুমাত্র ছোট যানবাহন গুলিই চলাচল করতে পারবে, এমনটাই নির্দেশিকা জারি করা হয় শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের তরফে। ভারী যানবাহনগুলো চলাচলের জন্য বিকল্প হিসেবে তৈরি করা হয় বালাসন ব্রিজের অদূরে ডাইভার্সন ব্রিজ। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে অবিরাম ভারী বৃষ্টির কারণে জলস্ফীতি ঘটেছে বালাসন নদীতে। ফলে যেকোনো সময় অকেজো হয়ে পড়তে পারে ব্রিজ। দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। বিপদজ্জনক অবস্থায় রয়েছে ব্রিজটি। যদিও তৎপর শিলিগুড়ির পুলিশ প্রশাসন। যেকোনো দুর্ঘটনা রুখতে তৎপর বিপর্যয় মোকাবিলা দল। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মকর্তা বিশাল শর্মা জানান, সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। দিনরাত ২৪ঘন্টা তারা নজর রাখবেন। সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সন্ধ্যার পর থেকে ডাইভার্সন ব্রিজে ভারী যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।