ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি ভাঙায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানালেন অধীর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। শুক্রবার দুপুরে বহরমপুর থানার সৈদাবাদ মনীন্দ্র চন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত হয়েছিলেন অন্যান্য কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে অধীর চৌউ বলেন, ‘আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলবো দ্রুত অপরাধীকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করুক। তা না হলে আমরা থানায় ডেপুটেশন দেব। ওই স্থানে পুণরায় আমরা ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি স্থাপন করব। এইভাবে ইন্দিরা গান্ধীকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বহরমপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সৈদাবাদ এলাকায় ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি ভাঙার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সৈদাবাদ মনীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলের ফটকের একদিকে ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি অপর দিকে রাজীব গান্ধীর মূর্তি ছিল। রাজীব গান্ধীর মূর্তি ঠিক থাকলেও, মাথা ভেঙে দেওয়া হয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তির। তবে কে বা কারা এই মূর্তি ভেঙেছে তা এখনও জানা যায়নি। মূর্তি ভাঙার ঘটনাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বহরমপুর পুর এলাকার কংগ্রেস কর্মীরা।

এই ঘটনায় বহরমপুর পৌরসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস কাউন্সিলর হীরু হালদার বলেছেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের সামনে এই দুটি মূর্তিকে দেখে আসছি। এইরকম নক্কারজনক ঘটনা কারা করল, তা আমরা জানি না। বিষয়টি আমরা প্রশাসনের নজরে এনেছি। বহরমপুর থানার আইসি কেও বিষয়টা জানিয়েছি। লিখিতভাবে অভিযোগ সৈদাবাদ পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়েছে। আমরা এমন একটা দেশে বাস করছি যেখানে ইন্দিরা গান্ধীর মতো জননেত্রীকে সম্মান দেওয়া হয় না। আমাদের প্রত্যেকের আলাদা রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে ইন্দিরা গান্ধীর মতো একজন জননেত্রীকে এইভাবে অপমান করবে? কল্পনাও করতে পারছি না। তাই শুধুমাত্র পুলিশ নয়, বহরমপুরের শাসকদলের নেতাদেরও বিষয়টি জানানো হয়েছে।’