বাংলার খবর
ভোটাভুটির মাধ্যমে বিধানসভায় পাশ আচার্য বিল, অপেক্ষা শুধু রাজ্যপালের সইয়ের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিধানসভায় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গেল। রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করতে চেয়ে পাশ হল বিল। বিলের পক্ষে সোমবার ভোট পড়ল ১৮২টি। বিপক্ষে ভোট পড়ল ৪০টি। এবার রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য যাবে সংশোধনী বিল। রাজ্যপাল আদৌ এই বিলে সই করবেন কিনা তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছে। সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন এই বিলে সই করবেন না রাজ্যপাল।
রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং সরকারি দফতরের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসানোর সিদ্ধান্ত কয়েকদিন আগেই নিয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। সোমবার বিধানসভায় সেই বিল পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই বিলের বিরোধিতা করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বিলের প্রবল বিরোধিতা করেন বিজেপি বিধায়কেরাও। বিজেপির দাবি, শিক্ষাক্ষেত্রে যে দুর্নীতি চলছে, তা ধামাচাপা দিতেই রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করা হচ্ছে। এই আচার্য বিল নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে বিজেপি। আচার্য বিল নিয়ে সোমবার বিধানসভায় যে ভোটাভুটি হয়েছে, তাতেও কারচুপি হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। এদিন বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘রিটারমেন্ট হয়ে যাবে তবুও মুখ্যমন্ত্রী কোনদিন আচার্য হতে পারবেন না। এই বিল পাশ হওয়ার পর তা যাবে রাজ্যপালের কাছে। রাজ্যপাল সই করলে তা কেন্দ্রের কাছে যাবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। রাজ্যের নাম বঙ্গ এবং বিধান পরিষদ গঠনের বিল পাশ হয়ে গিয়ে দিল্লিতে পড়ে রয়েছে। আচার্য বিলেরও একই অবস্থা হবে। তাছাড়া এই বিল বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়নি। আমরা আগামী সোমবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বলব এই বিলে সই না করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর জন্য।’
এদিন বিধানসভায় এই বিলের বিরোধিতা করে বিজেপি বিধায়করা যা কিছু বলেছেন, তা বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার। এদিন বিধানসভায় এই বিলের পক্ষে বক্তব্য রাখেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক। এই বিলকে সময়োপযোগী বলেই দাবি করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে এই নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে পাল্টা তোপ দেগেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেছেন, ‘গুজরাত, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই এই বিল আনা হয়েছে। রাজ্যপাল কী করবেন, তা ঠিক করে দেয় বিজেপির সদস্যরাই। রাজ্যপাল যদি সেটাই করবেন মনে করেন, তাহলে করবেন। উনি তো আপনার, আমাদের, রাজ্য সরকারের রাজ্যপাল। তাহলে নির্বাচিত সরকারের কথা উনি শুনবেন না কেন? উনি কি তাহলে বিজেপির কথা শুনে চলবেন? বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী হলে, রাজ্যের ক্ষেত্রে আপত্তি কীসের?’