বাংলার খবর
সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ ফিরে পেলেন অভিষেক!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : গত কয়েকদিন ধরেই চলছিল গুঞ্জন। পৌরসভার প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই দলে ডামাডোল শুরু হয়ে যায়। জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ে প্রার্থী বিক্ষোভ। নেতাদের বিবৃতি পাল্টা বিবৃতির জন্য অস্বস্থিতে পড়ে দল। পরিস্থিতি সামাল দিতে কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আজ কালীঘাটে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে নতুন কমিটি ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পুনরায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার পর মনে করা হচ্ছিল একাধিক সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে। কিন্তু সেই পথে না হেঁটে অভিষেককে তার পুরনো পদ ফিরিয়ে দেয়া হলো। অভিষেক একাই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করবেন। আর কাউকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়নি। কালীঘাট সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠক শুরুর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনের মিটিংয়ের পর একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেল, আবারও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়া আরও তিনজনকে দলের সহসভাপতি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, যশোবন্ত সিনহা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও সুব্রত বক্সি। তৃণমূলের জাতীয় ও রাজ্যসভার মুখপাত্র হয়েছেন সুখেন্দু শেখর রায়।
লোকসভার মুখপাত্র হয়েছেন মহুয়া মৈত্র, কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সর্বভারতীয় তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। উত্তর পূর্ব রাজ্যের সংগঠন দেখবেন সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক এবং মুকুল সংমা। বৈদেশিক এবং অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণের ভার দেওয়া হয়েছে যসবন্ত সিনহা এবং অমিত মিত্রকে। তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। এছাড়া চার পুরনিগমের মেয়রের নাম ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধাননগরের মেয়র হয়েছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। চন্দননগরের মেয়র হয়েছেন রাম চক্রবর্তী। আসানসোলের মেয়র হচ্ছেন বিধান উপাধ্যায়। এছাড়া শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের নাম আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।