বাংলার খবর
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত মত, আগামী দু’মাস নির্বাচন না হওয়াই উচিত!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দেশের সঙ্গে রাজ্যেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে মেলার পাশাপাশি নির্বাচনও না করার পক্ষেই সওয়াল করছেন অনেকেই। আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের ৪ করপোরেশনে ভোট।
কিন্তু রাজ্যের উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতি দেখে আগামী দুই মাস নির্বাচনসহ সমস্ত কিছু বন্ধ রাখা উচিত বলেই জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এটা তাঁর সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মত বলেই জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সংসদ। শনিবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তথা নিজের সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে অভিষেক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাত বিধায়ক। জেলার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেন অভিষেক। বৈঠকে ছিলেন, কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, ডায়মন্ড হারবারের জেলাশাসক সহ একাধিক আধিকারিকও।
বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবারের জন্য একগুচ্ছ কোভিড বিধির কথা ঘোষণা করেছেন। তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, আগামী ২৮ ফ্রেরুয়ারি পর্যন্ত তাঁর সয়সদীয় এলাকায় সব রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধ থাকবে। কেউ বাড়িতে চাইলে পুজো করতেই পারেন। তবে, যে পুজোয় ১০০-র বেশি মানুষের সমাবেশ হতে পারে, সেই অনুষ্ঠানের আযোজন করা যাবে না। বাজার এলাকায় যেতে হলে দু’টি মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ক্রেতা বা বিক্রেতা উভয়ের জন্যই এই নিয়ম প্রযোজ্য। এই বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করার জন্য মাইকিং করা হবে। তারপরও নিয়ম ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেছেন তিনি। জেলা স্তরে বা মহকুমা স্তরে কন্ট্রোল রুম আগেই তৈরি হয়েছে।
এবার প্রতিটি ওয়ার্ডে, প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে বলে ঘোষণা করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। ওয়ার্ডে বা পঞ্চায়েত এলাকায় কারও মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করা যাবে। কন্ট্রোলরুম থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে। শনিবারের সভা থেকে ডায়মন্ড হারবারে ডক্টর অন হুইলস কর্মসূচি চালু করার কথাও ঘোষণা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকায় এলাকায় ঘুরবেন চিকিৎসকরা। কেউ অসুস্থ হলে তাঁর চিকিৎসা যেমন করবেন চিকিৎসকরা, তেমনি কেউ কোভিড আক্রান্ত হলে সহজেই তাঁরা চিকিৎসকের কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন। পাশাপাশি কিটের মাধ্যমে করোনা টেস্ট করার ওপরও জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সাংসদ।
কিটের মাধ্যমে অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য আশা কর্মীদেরও ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। যে এলাকায় সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি সেই এলাকার সংক্রমিত ব্যক্তি হোম আইসোলেশনে থাকতে পারবেন না। তাঁকে আইসোলেশন সেন্টার স্থানান্তরিত করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২০ জানুয়ারি আবারও বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে এই সব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।