রাজনীতি
আবারও ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বাতিল! শেষ মুহূর্তে অনুমতি দিল না পুলিশ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : নতুন বছরেও চিত্রটা বদলাল না। আবারও শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের সভার অনুমতি দিল না ত্রিপুরার পুলিশ। রবিবার সকালেই দু’দিনের সফরে ত্রিপুরা পৌঁছেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরেই বড়মুড়া ইকোলজিক্যাল পার্কে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল অভিষেকের।
সকালে স্থানীয় চতুর্দশা মন্দিরে পুজো দেন। তার পরই পুলিশের সেই সভার অনুমতি না দেওয়ার খবর পৌঁছল অভিষেকের কাছে। ওই সভার জন্য তৃণমূলের পক্ষে আগে থেকেই অনুমতি নেওয়া থাকলেও ওই একই সময়ে একই জায়গায় ত্রিপুরার মন্ত্রী মেবার কুমার জামাটিয়ার একটি অনুষ্ঠান রয়েছে বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে ত্রিপুরা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। গতবছরও একইভাবে শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের একাধিক সভা ও মিছিলের অনুমতি শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দিয়েছিল ত্রিপুরার প্রশাসন। নতুন বছরেও শেষ মুহূর্তে পুলিশ সভার অনুমতি না দেওয়ায় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। এমনকি চতুর্দশা মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় মাইকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি এবং বিজেপিতে থাকাকালীন বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া ‘এই তৃণমূল আর না’ গান বাজাতে শোনা যায়।
এ সব দেখে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, বিজেপি ভয় পেয়েছে বলেই এই সমস্ত কাজকর্ম করছে। এরপরই বিজেপি এবং ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকারকে এক হাতে নিয়ে অভিষেক বলেছেন, ‘আমি মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলাম। যারা নিজেদের হিন্দু ধর্মের ধারক ও বাহক বলেন, তারা আমাকে জব্দ করতে গিয়ে ভগবানকেও ছাড়ছেন না। ডিজে বক্স বাজানো হচ্ছে। বিপ্লব দেব দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন। আমাদের কর্মীদের মারা হচ্ছে, পার্টি অফিস ভাঙচুর হচ্ছে। পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। মগের মূলুকে পরিণত হয়েছে ত্রিপুরা। নতুন বছরের শুরুতেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে এবং এই মন্দিরে আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। সমগ্র ত্রিপুরাবাসীর মঙ্গল কামনা করছি। আমরা ত্রিপুরা মাটি থেকেই আগামী দিনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব। ত্রিপুরাতে তৃণমূল এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। যুদ্ধক্ষেত্রে তৃণমূল ছিল এবং থাকবে।
তিন মাস ধরে তৃণমূল ত্রিপুরাতে কার্যকলাপ শুরু করেছে। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, অবাধ সন্ত্রাসের মধ্যেও ভালো ফল করেছে তৃণমূল। প্রার্থীরা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি, তবুও আমরা ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছি। আগরতলাতে তৃণমূল ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের এখনও এক বছর বাকি। এই একবছরে অনেক কিছু হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে দেশে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়ছেন, তৃণমূল লড়ছে। এখানে কোনও কাজ হয়নি। রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ। কলেজ, ইউনিভার্সিটি কিছুই হয়নি। এদের বাংলার উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করা মানায় না।সাহস থাকলে রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আমার মুখোমুখি বসুন। আমি বলব বাংলায় কী উন্নয়ন হয়েছে। আর আপনি বলবেন ত্রিপুরাতে কী উন্নয়ন হয়েছে।’