বাংলার খবর
বিকল্প কলার চাষ লাভের মুখ দেখাচ্ছে বাঁকুড়ার কৃষক অভিজিৎ ঘোষকে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বাঁকুড়া জেলার বেশকিছু ব্লকে সারা বছর ধরেই বিভিন্ন ধরণের ফসল ফলান জেলার কৃষকেরা। মূলত ধান, আলু, সরিষা, তিল-সহ নানান রকমের সব্জি বাজারে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করে থাকেন বেশির ভাগ চাষী।
কিন্তু এই বাঁকুড়া জেলাতেই বিকল্প চাষ করে অন্যান্য ফসলের থেকে বেশি টাকা লাভ করেছেন অভিজিৎ ঘোষ নামে এক চাষী। কোতুলপুর ব্লকের বেনেরচকে অভিজিৎবাবু তাঁর ৫ বিঘা জমির উপর কালার বাগান তৈরি করেছেন। তাঁর এই জমিতে ‘জি-৯’ প্রজাতির কলা গাছ লাগিয়েছেন তিনি। অভিজিৎ বাবু জানিয়েছেন, স্থানীয় বাজারে এই কলার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এক কাঁদি কলার বাজার মূল্য প্রায় ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা। তাছাড়া এই ‘জি-৯’ কলার গাছে পোকা মাকড়ের আক্রমণও কম। বছরে ১০ থেকে ১২ বার ওষুধ ব্যবহার করলেই ঠিক হয়ে যায়।
ঠিকমতো পরিচর্যা করতে পারলে এই প্রজাতির কলা গাছে ফলনও প্রচুর হয়। অভিজিৎবাবুর কথায়, এই কলা চাষ করে প্রতি বছরে প্রতি বিঘা থেকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। যা অন্যান্য ফসল চাষ করে পাওয়া যাবে না। তাই তিনি এই বিকল্প চাষকেই বেছে নিয়েছেন। তাঁর এই উদ্যোগ জেলার অন্যান্য চাষীদেরও বাড়তি আয়ের রাস্তা তৈরি করে দিচ্ছে। তাঁকে দেখে এখন অনেকেই এই বিকল্প কলা চাষ করতে আগ্রহী হয়েছেন।