সটান হাইটেনশন তারে উঠে পড়লেন মহিলা, তারপর যা হল...
Connect with us

বাংলার খবর

সটান হাইটেনশন তারে উঠে পড়লেন মহিলা, তারপর যা হল…

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: হাইটেনশন টাওয়ারের উপর রাতভর মহিলার তাণ্ডব। ঘটনায় শশব্যস্ত হয়ে পড়তে হল দমকল এবং পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সকে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাত’টা নাগাদ মেজিয়ার সীতারামপুর গ্রাম সংলগ্ন একটি হাইটেনশন লাইনের টাওয়ারের ওপর আচমকাই উঠতে শুরু করেন এক মহিলা। কারও বারণ না শুনেই নিমিষের মধ্যেই ওই মহিলা পৌঁছে যান হাইটেনশন টাওয়ারের একদম মাথায়। আর একেই বলে কপালের নাম গোপাল।

জানা গিয়েছে, হাইটেনশন লাইনের টাওয়ারে চালু থাকা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুত-এর কোনও আঁচড়ই লাগেনি ওই মহিলার। এদিকে দীর্ঘক্ষণ হাই টেনশন টাওয়ারের উপরেই বসে থাকেন তিনি। খবর দেওয়া হয় মেজিয়া থানায়। টাওয়ার থেকে নিচে নেমে আসতে বহু কাকুতি মিনতিও করা হয় তাঁকে। কিন্তু কে বা শোনে পুলিশের কথা। দিব্যি সেইখানেই ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকলেন ওই মহিলা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ডাকা হয় দমকল বিভাগকে। দমকল কর্মীদের পক্ষেও সম্ভব হয়নি ওই মহিলাকে নিচে নামানো।

অবশেষে খবর দেওয়া হয় দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন এবং সিভিল ডিফেন্স কে। সিভিল ডিফেন্স দমকল পুলিশ এবং দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে রাতভর অভিযানের পর ভোর পাঁচটা নাগাদ নামানো সম্ভব হয় ওই মহিলাকে। তবে মহিলার নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের দাবি ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন।
অন্যদিকে এদিন শুক্রবার সকালে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার সময় কল্পনা বাউরী নামে এক মহিলাকে সজোরে ধাক্কা মারার অভিযোগ উঠেছে একটি চারচাকা গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বগটুই হত্যাকাণ্ড: তদন্তভার CBI-এর হাতে যেতেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল মামলাকারীদের

এদিন ঘটনাটি ঘটেছে, বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পল্লীতে। মৃতা কল্পনা বাউরীর বয়স ৪২ বছর। স্থানীয় বাসিন্দা সেখ ইব্রাহিম জানান, উনি ঘর থেকে বেরিয়ে কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সাতকেন্দুরি দিক দিয়ে একটি গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে উনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে দুবরাজপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

আরও পড়ুন: ‘একসময় কোর্ট সিবিআইকে তোতা পাখি বলে মন্তব্য করেছিল’, বগটুই নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ

Advertisement

জানা গিয়েছে, ওনার স্বামী ভোজন বাউরী দুবরাজপুর পৌরসভায় কাজ করতেন। খবর পেয়ে দুবরাজপুর গ্রামীন হাসপাতালে পৌছান দুবরাজপুর পৌরসভার পৌর প্রধান পীযূষ পান্ডে, উপ পৌর প্রধান মির্জা সৌকত আলী, তৃণমূল কংগ্রেসের দুবরাজপুর শহর সভাপতি স্বরুপ আচার্য, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেখ নিজাম উদ্দিন সহ আরও অনেকে।