বাংলার খবর
শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবি জানাতে রাজভবনে পৌঁছল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে রাজভবনে পৌঁছল তৃণমূলের ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজভবনে পৌঁছন তাঁরা। তৃণমূল প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ব্রাত্য বসু, বাবুল সুপ্রিয়, কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, তাপস রায়, সায়নী ঘোষ, বিশ্বজিৎ দেব এবং ফিরোজা বিবি।
পাঁশকুড়া পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক ফিরোজা বিবি। তিনি নন্দীগ্রামের মা বলেই পরিচিত। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন ফিরোজা বিবির পুত্র শেখ ইমদাদুল। সেই সময় ফিরোজা বিবিকে সামনে রেখেই নন্দীগ্রামে আন্দোলন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরোজা বিবি নন্দীগ্রামের বিধায়কও ছিলেন। এবার নন্দীগ্রামের বর্তমান বিধায়কের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ককে সামনে রেখেই সরব হল তৃণমূল।
সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন তাঁর গোপন জবানবন্দিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শিভেন্দু অধিকারীকে টাকা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর থেকে রীতিমতো ব্ল্যাকমেইল করে শুভেন্দু টাকা নিতেন বলেও অভিযোগ করেছেন সারদাকর্তা। সুদীপ্ত সেনের এই বিস্ফোরক দাবিকে সামনে রেখেই সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
শুভেন্দু অধিকারী অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার থেকেই রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল। সোমবার বিধাননগর সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে সভা করেছে তৃণমূলের যুব সংগঠন এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেখানে অবিলম্বে শুভেন্দুকে গ্রেফতারির দাবি তোলা হয়েছে। সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে হাজির ছিলেন বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, তৃণমূল যুব রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
সোমবার হলদিয়াতেও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অপর একটি বিক্ষোভ সমাবেশ হয় শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ির সামনেই। সেই বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্ব দেন রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। সেখান থেকে শুভেন্দুর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’ পর্যন্ত তাঁর গ্রেফতারের দাবিতে ‘শুভেন্দুর দুয়ারে’ বলে একটি মিছিলও হয়।
গত শুক্রবার বিধাননগরের এমপি-এমএলএ কোর্টে হাজিরা দিতে এসেছিলেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। আদালত থেকে বেরোনোর সময় তিনি যা বলেন, সেই ভিডিও তুলে ধরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার গ্রেফতারির দাবি জানায় শাসকদল। তৃণমূলের দাবি, আদালতে চিঠি দিয়ে সুদীপ্ত জানিয়েছেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা নিতেন শুভেন্দু। তারপরই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। তারপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, একাধিক দুর্নীতির ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির একাধিক নেতার নাম জড়ালেও তাঁদের কেন জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করা হচ্ছে না! এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে সেই দাবি জানাতেই রাজভবনে গিয়েছেন তৃণমূলের ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল।