বাংলার খবর
গড়িয়াহাটের বাড়ি থেকে উদ্ধার জোড়া রক্তাক্ত দেহ! সম্পত্তি বিবাদের জেরেই খুন বলে অনুমান পুলিশের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ:কলকাতার গড়িয়াহাটে জোড়া খুন! গড়িয়াহাটের ৭৮-এ কাঁকুলিয়া রোডের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল জোড়া মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একজনের নাম সুবীর চাকি (৬১) ও অপরজন তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল (৬৫)। নিহত বাড়ির মালিক সুবীর চাকি নামী ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন।
বেশ কয়েক বছর আগেই গড়িয়াহাটের দোতলা বাড়ি ছেড়ে পরিবারকে নিয়ে নিউটাউনের ‘ইউনি ওয়ার্ল্ড সিটি’ তে থাকতে শুরু করেন তিনি। তবে রবিবার বিকেলে তিনি গড়িয়াহাটের বাড়িতে যান। অনেক রাত পর্যন্ত তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের খবর দেন। খবর দেওয়া হয় গড়িয়াহাট থানাতেও। খবর পেয়েই পুলিশ বাড়িতে গিয়ে দেখে, একতলায় সুবীর চাকির দেহ পড়ে রয়েছে। চার দিক রক্তে ভেসে যাচ্ছে। ড্রাইভারের দেহ পড়েছিল দোতলায়। দু’জনেরই গলা, কব্জি ও পায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দু’জনেরই মোবাইল ফোন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তাতেই খুনের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশকিছু দিন ধরেই গড়িয়াহাটের বাড়িটি বিক্রি করতে চাইছিলেন সুবীর। ইতিমধ্যে অনেক ক্রেতার সঙ্গে সুবীরের যোগাযোগও হয়েছিল। কোনও ক্রেতাকে সম্পত্তি দেখাতেই সুবীর বাবু ড্রাইভারকে নিয়ে রবিবার বাড়িতে এসেছিলেন বলে পুলিশের অনুমান। কিন্তু কেউ বাড়ি দেখতে এসেছিলেন কি না, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ মনে করছে, সম্পত্তিগত কারণ অর্থাৎ বাড়িটি বিক্রি নিয়েই কোনও বিবাদের জেরে এই খুন! বাড়ির একতলা একটি বেসরকারি সংস্থাকে ভাড়া দেওয়া ছিল। গতকাল রবিবার হওয়ায় অফিস বন্ধ ছিল।
সোমবার সকালে বাড়ির মালিক খুনের খবর পেয়ে অফিসের কর্মীরা আসেন। কর্মীরা তালা খুলে অফিসের ভিতরে গিয়ে দেখেন কম্পিউটার রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ রয়েছে। অফিস কর্মীরা জানিয়েছেন এই কম্পিউটার রুমের ভিতর দিয়ে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির দরজা রয়েছে। প্রতিদিন কম্পিউটার রুমের দরজা বন্ধ থাকলেও শনিবার দরজা খোলা ছিল। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কে বা কারা, কীভাবে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করল! ব্যাপারটি তারা পুলিশকে জানিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ।