বাংলার খবর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের মহারাষ্ট্রে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় রাজনীতিকে পাখির চোখ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লক্ষ্যে একের পর এক রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের পাশাপাশি সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করছেন অভিষেক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই লক্ষ্যে একের পর এক রাজ্যে ছুটে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। সেই লক্ষ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুম্বই সফর। মুম্বইয়ে গত দু’দিনে শিবসেনা, এনসিপির মতো দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা’র অভিযোগ আনলেন মুম্বইয়ের এক বিজেপি নেতা। অভিযোগ, বৈঠকের মাঝে আচমকাই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চার লাইন গেয়েই ‘জয় মহারাষ্ট্র’ এবং ‘জয় বাংলা’ বলে বসে পড়েন। এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার জন্য মুম্বই আদালতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মহারাষ্ট্রের ওই বিজেপি নেতা।
মুম্বই বিজেপির প্রবীণ নেতা প্রদীপ কাপরে এই অভিযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর যুক্তি, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা সংবিধানিক চেয়ারে বসে কীভাবে জাতীয় সঙ্গীতকে অবমাননা করতে পারেন!’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৬ সেকেন্ডের এই বিতর্কিত ভিডিওকে হাতিয়ার করে আক্রমণের পথে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য টুইট করে লিখেছেন, ‘আমাদের জাতীয় পরিচয় হল আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। এই সঙ্গীতকে যে ভাবে গেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা অবমাননাকর।
বিরোধীরা কি দেশপ্রেম ভুলে গিয়েছেন?’ রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, ‘একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বাংলার সংস্কৃতি, জাতীয় সঙ্গীত, দেশ এবং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও অপমান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই নিয়ে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করে টুইটারে লিখেছেন, ‘জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন কুৎসা করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী ‘জন গণ’ গাননি। গানের শব্দ ধরে ভাবার্থ বিশ্লেষণ করে দেশের ঐক্য, ঐতিহ্য, সম্প্রীতি, সংহতির কথা তুলে ধরছিলেন। বিজেপি না বোঝে প্রকৃত জাতীয়তাবাদ, না বোঝে জাতীয় সঙ্গীত, না বোঝে জাতীয় সংহতি।’