ইংরেজ শিবিরে বড় ধাক্কা, আচমকাই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর স্টোকসের
Connect with us

খেলা-ধূলা

ইংরেজ শিবিরে বড় ধাক্কা, আচমকাই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর স্টোকসের

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি ঘরের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ হেরেছে ইংল্যান্ড। সেই হারের ক্ষত শুকানোর আগেই ইংরেজ শিবিরে বড় ধাক্কা। একদিনের ক্রিকেট থেকে আচমকাই অবসর নিলেন বেন স্টোকস! সোমবার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক আচমকাই জানিয়ে দিলেন, আগামী মঙ্গলবার ডারহামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচটিই তাঁর কেরিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ হতে চলেছে। ইংলিশ ব্যাটারের এই আচমকা অবসরে অবাক হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব।

স্টোকস তাঁর অবসরের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে লিখেছেন, ‘মঙ্গলবার ডারহামে আমি ইংল্যান্ডের হয়ে শেষ একদিনের ম্যাচ খেলতে নামব। তারপরই এই ফরম্যাট থেকে আমি অবসর নিতে চলেছি। এই সিদ্ধান্তটা নেওয়াটা আমার কাছে খুবই কঠিন ছিল। ইংল্যান্ডে সতীর্থদের সঙ্গে খেলার প্রতিটা মুহূর্ত আমি উপভোগ করেছি এবং সারা জীবন মনে রাখব। এই যাত্রাপথটা আমার কাছে সত্যিই অনির্বচনীয়।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তটা আমার কাছে খুব কঠিন ছিল ঠিকই, তবে এটাও সত্যি যে এই ফরম্যাটে আমি দলের হয়ে নিজের ১০০ শতাংশ উজাড় করে দিতে পারছিলাম না। ইংল্যান্ডের জার্সির গুরুত্ব এতটাই বেশি যে এখানে কম দেওয়ার কোনও জায়গাই নেই। আমার পক্ষে আর তিনটে ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শুধুমাত্র যে ক্রিকেটীয় সূচির কারণে প্রত্যাশা অনুসারে আমার শরীর আর ধকল সহ্য করতে পারছে না তাই নয়, আমার মনে হয় আমি এমন একজন ক্রিকেটারের জায়গা দখল করে রয়েছি। যে জসের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে এবং গোটা দলের কাছে অপরিহার্য হয়ে উঠবে। নতুন প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়ার এটাই সেরা সময়। গত ১১ বছর ধরে আমি যে স্মৃতি সঞ্চয় করেছি, তা চিরকাল মনে রাখব।’
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আরও বেশি করে মনোনিবেশ করতেই তিনি একদিনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন স্টোকস। তিনি বলেছেন, ‘টেস্টে আমি নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে চাই। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে। জস বাটলার, ম্যাথিউ মট সহ দলের সতীর্থদের আমি আগামীদিনের জন্য শুভেচ্ছা জানাতে চাই। গত সাত বছর ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে আমরা দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছি। আশা করছি, আগামীদিনে আরও ভালো পারফরমেন্স করতে পারব।’

Advertisement

২০১১ সালের ২৫ অগস্ট ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয় স্টোকসের। ১০৪ ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ২ হাজার ৯১৯ রান করেছেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০২ রান। তিনটি শতরান এবং ২১ অর্ধশতরান করেছেন। তবে ইংল্যান্ডবাসী তাঁকে মনে রাখবেন ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৪২ রান তাড়া করতে নেমে ৯৮ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস খেলে দলের বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। ফাইনালের সেরা ক্রিকেটারও হয়েছিলেন তিনি।