ভাইরাল খবর
দাদুকে কাছে পেয়ে বাবার খুনিকে ধরিয়ে দিল ১০ বছরের শিশু

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বাবার প্রার্থনা সভায় বাবার খুনিকে ধরিয়ে দিল ১০ বছরের ছেলে। এক লহমায় বদলে গেল পরিবেশ ও পরিস্থিতি। গত ২৭ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুর ডেডাবল্লাপুরের কারেন্নাহালিতে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় বছর ৪০ এর এন রাঘবেন্দ্রর।
রাঘবেন্দ্রর স্ত্রী শৈলজা রাত দু’টো নাগাদ শশুর বাড়িতে জনানান মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়েছেন রাঘবেন্দ্র। খবর পেয়েই ছুটে আসেন রাঘবেন্দ্রর ভাই শেখর। তড়িঘড়ি রাঘবেন্দ্রকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের লোকজন ভেবে নেয় রাঘবেন্দ্রর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর রাঘবেন্দ্রর স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। সেই স্মরণ সভায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে পুত্র ও কন্যাকে নিয়ে হাজির ছিলেন রাঘবেন্দ্রর স্ত্রী শৈলজাও। তারপরই বদলে গেল সবকিছু। দাদু নানজুন্দাপ্পারকে কাছে পেয়ে রাঘবেন্দ্রর ১০ বছরের ছেলে সত্যি বলে দেয়। পরিবারের লোকজন যেখানে ভেবেছিলেন রাঘবেন্দ্রর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে সেখানে তাঁর ছেলে বলে যে রাঘবেন্দ্রকে খুন করা হয়েছে। বাবা মারা যাওয়ার সময় ঘরে অন্য এক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
শিশুটি বলে, ওইদিন রাতে একটা শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তার। সে তাকিয়ে দেখে, মা তার বাবাকে ধরে আছে। আর একজন ব্যক্তি ভারি কিছুদিয়ে বাবার মাথায় মারছে। বাবাকে বাঁচাতে গেলে ওই ব্যক্তি ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দেয়। এবং তাকে কাউকে কিছু না বলতে বলে। এবং বললে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। তারপরই শিশুটির দাদু তাঁর ছোট ছেলে শেখরকে বিষয়টি জানান।শেখর বাড়ির পাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন।তাতে দেখা যায় ঘটনার দিন রাতে এক ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে ঢুকছেন। এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে রাঘবেন্দ্রর পরিবারের লোকজন। তদন্ত করতে নেমে পুলিশ হনুমন্ত নামে ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি, রাঘবেন্দ্রর স্ত্রী শৈলজা এবং তাঁর তার মা লক্ষ্মীদেবমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাশের একটি কাপড়ের কারখানায় কাজ করতেন শৈলজা এবং হনুমন্ত। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই কারণেই তাঁরা দু’জনে মিলে রাঘবেন্দ্রকে খুন করারা পরিকল্পনা করে।