দেশের খবর
এনআরএস-এ চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী মিলিয়ে ৬১ জন পজেটিভ! কোভিড আক্রান্ত রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির ১০ চিকিৎসক
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ, চিত্তরঞ্জন শিশু সেবা সদন, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পর এবার আরও এক সরকারি হাসপাতাল- এনআরএস-এ ৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন।
নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার কোভিড টেস্টের রিপোর্টের যে তালিকা হাসপাতালে পৌঁছেছে, তাতে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগী মিলিয়ে মোট ৬১ জন পজেটিভ এসেছেন। হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগ, কার্ডিওলজি এবং এসএনসিইউ বিভাগে ভর্তি কয়েকজন রোগীও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ৬১ জন আক্রান্তের মধ্যে বেশির ভাগই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী বলেই জানিয়েছেন এনআরএসের এমএসভিপি ইন্দিরা দে। সোমবার থেকেই এনআরএসের অ্যানেক্স হাসপাতাল আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে ১০০ শয্যার কোভিড পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
শুধু এনআরএস নয়, রাজ্যের একমাত্র সরকারি চক্ষু হাসপাতাল রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজি-তেও সোমবার ১০ জন চিকিৎসক ও ২ নার্স সহ মোট ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও আরও ১০ জন চিকিৎসকের উপসর্গ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তাঁদের টেস্ট রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছায়নি। ফলে সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। এতজন চিকিৎসক একসঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার ফলে পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে, হাসপাতাল সূত্র জানা গিয়েছে, যে চিকিৎসকরা পজেটিভ এসেছেন, তাঁরা সবাই রেসিডেন্সিয়াল চিকিৎসক। তবে এখনই পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন হাসপাতালের অধিকর্তা অসীম কুন্ডু।
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলোতে যেভাবে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে, তাতে উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরেও। তাই সোমবার সকালে একাধিক হাসপাতালের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বৈঠকও করেছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী করণীয় তা নিয়ে কিছু রূপরেখাও ঠিক করা হয়েছে। চিকিৎসা পরিসেবাকে স্বাভাবিক রাখতে আমেরিকার মতো এখানেও আক্রান্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আইসোলেশনের গাইডলাইন কমিয়ে ৫ দিনে আনা উচিৎ কি না, তা নিয়েও স্বাস্থ্য ভবনে আলোচনা চলছে। শুধু হাসপাতাল নয়, লালবাজারেও হানা দিয়েছে করোনা। একজন যুগ্ম কমিশনার ও একজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার-সহ মোট ৫০ জন পুলিশকর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর রবিবারই পাওয়া গিয়েছিল। সোমবার আরও ১৩ জন পুলিশ কর্মীর রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত লালবাজারে মোট ৬৩ জন পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হলেন।