দেশের খবর
হিজাব পরে পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার অনুমতি, শাস্তির মুখে কর্ণাটকের ৭ স্কুল শিক্ষক

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না কর্ণাটক রাজ্যের। ফের হিজাব কাণ্ডে চাকরি থেকে বরখাস্তের মুখে পড়তে হল ৭ স্কুল শিক্ষিকাকে। ঘটনাটি ঘটেছে, কর্নাটকের Gadag জেলায়। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের Gadag জেলায় সিএস পাতিল বয়েজ এবং সিএস পাতিল গার্লস স্কুলে এসএসএলসি (SSLC) পরীক্ষা চলছে। আর এই পরীক্ষায় বসা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। যদিও ঘটনাটি মার্চ মাসের ১৫ তারিখ ঘটলেও এদিন তা প্রকাশ্যে আসে। বুধবার এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে, গত ১৫ মার্চ তারিখে সিএস পাতিল বয়েজ এবং সিএস পাতিল গার্লস স্কুল এই দুই সেন্টারে এসএসএলসি পরীক্ষা চলছিল। এই পরীক্ষাকেন্দ্রে মেয়ে পরীক্ষার্থীদের হিজাব পরে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েই বিপাকে পড়েছেন ওই দুই স্কুলের সুপারিটেন্ডেন্ট সহ সাত শিক্ষক।
আরও পড়ুন: বোরখা পরে বসা যাবে না পরীক্ষায়, হিজাব বিতর্কের মাঝেই কর্ণাটকের স্কুলে নয়া ফরমান
জানা গিয়েছে, হিজাব কাণ্ড নিয়ে যেখানে কর্ণাটক হাইকোর্টের রায়ে সুস্পষ্ট ভাবে বলা রয়েছে, স্কুল,কলেজ সহ যেকোনও শিক্ষাঙ্গনে নির্দিষ্ট ড্রেসকোড ছাড়া কোনও পড়ুয়ায় হিজাব বা বোরখা পরে ঢুকতে পারবে না। শুধু তাই নয়, কেউ যদি আদালতের এই নির্দেশ অমান্য করে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। রায়ে আরও বলা হয়েছে, হিজাব পরা ইসলামের অপরিহার্য অনুশীলনের আওতায় পড়ে না। শুধু তাই নয়, শিক্ষাঙ্গনে নির্দিষ্ট ড্রেসই বাধ্যতামূলক বলেও জানিয়েছিল আদালত।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কর্ণাটকের হুব্বাল্লি জেলার একটি স্কুলে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা চলছিল। ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে এক ছাত্রীর বোরখা পরা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। পরীক্ষায় বসতে গেলে খুলে আসতে হবে বোরখা। এছাড়াও ওই ছাত্রীর স্কুলের নির্দিষ্ট ড্রেসকোড পরেও আসেনি বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে জানানো হয় যে, বোরখা ছেঁড়ে স্কুলের ড্রেস পরে পরীক্ষায় বসতে। এরজন্য তাঁকে পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের থেকে লেখার জন্য কিছুটা সময় বেশিও দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর ছুটি নিয়ে খুব শীঘ্রই বড় ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্র
শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে কর্ণাটকের হুব্বাল্লি জেলার উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক Dharwad Mohan Kumar জানিয়েছেন যে, ”ওই ছাত্রী এদিন বোরখা পরে স্কুলে চলে আসে পরীক্ষা দিতে। এরপর তাঁকে বলা হয় বোরখা খুলে স্কুলের ড্রেস পরে পরীক্ষায় বসতে। এই বিষয়ে কোনও বিতর্ক তৈরি না করে সে যেন হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলে সেই কথাও জানানো হয় ওই ছাত্রীকে।”