লজেন্স ভেবে একাধিক যৌনশক্তিবর্ধক ট্যাবলেট খেয়ে ফেলল ৫ বছরের শিশু!
Connect with us

ভাইরাল খবর

লজেন্স ভেবে একাধিক যৌনশক্তিবর্ধক ট্যাবলেট খেয়ে ফেলল ৫ বছরের শিশু!

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শিশুদের কাছ থেকে বড়দের ব্যবহারিক জিনিস বা ওষুধপত্র সব সময়ই দূরে বা হাতের নাগালের বাইরে রাখার পরামর্শ সব সময় সকলেই দিয়ে থাকেন। তবুও জানতে বা অজান্তেই সেই ভুল হয়ে যায়। সেই রকম এক ভুলের বড়সড় খেসারত দেওয়ার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল বিহারের খাগাড়িয়ার এক পরিবার।

বড়দের একটা ভুল ছোটদের জন্য কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। জানা গিয়েছে, পাঁচ বছরের ছেলের হাতের নাগালের মধ্যেই ওই দম্পতি রেখে দিয়েছিলেন যৌনশক্তিবর্ধক ট্যাবলেট। রংচঙে ওই ট্যাবলেটগুলো দেখে একরত্তি ছেলে লজেন্স ভেবে খেয়ে নেবে তা কল্পনাও করতে পারেননি ওই দম্পতি। তাও আবার একটা নয়, চার-চারটি যৌনশক্তিবর্ধক ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে পাঁচ বছরের ওই শিশুটি। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। হঠাৎই ছেলের মধ্যে অস্বাভাবিকতা দেখতে পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন দম্পতি। ট্যাবলেটগুলো খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে শিশুটির শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়। প্রচন্ড ঘাম হতে শুরু করে। এবং সারা শরীর থরথর করে কাঁপতে থাকে। কিন্তু কেন ছেলের এমন হলো, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না ওই দম্পতি। ছেলের প্রাথমিক শুশ্রূষার মাঝেই তাঁদের চোখ যায় মাটিতে পড়ে থাকা যৌনশক্তিবর্ধক ট্যাবলেটের খালি পাতার দিকে।

পাতার চারটি ট্যাবলেটের একটিও দেখতে না পেয়ে ওই দম্পতির বুঝতে আর দেরি হয়নি, কী কারণে তাঁদের ছেলের এই দশা। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন। হাসপাতালের চিকিৎসকও সমস্ত কথা শুনে রীতিমতো চমকে ওঠেন। একটা পাঁচ বছরের শিশুর এই ক্ষেত্রে কী চিকিৎসা করবেন, তা চিকিৎসকও বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তাই তিনি পাটনা এইমসের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ বন্ধুকে ফোন করেন। কিন্তু সেই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছেও এই সমস্যার চিকিৎসা জানা ছিল না। তখন তিনি তাঁর বন্ধু চিকিৎসককে পরামর্শ দেন যেনতেন প্রকারে শিশুটিকে বমি করানোর জন্য। সেই পরামর্শ মতোই শিশুটিকে নুন জল খাওয়ানো হয়। এবং শিশুটিকে বমি করানো হয়। এরপরই শিশুটি ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করে। তারপর তার চিকিৎসা শুরু হয় এবং পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। বর্তমানে শিশুটি ভালো আছে বলে জানা গিয়েছে। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, একটি ৫ বছরের শিশু চারটি যৌনশক্তিবর্ধক ট্যাবলেট খেয়ে ফেললে রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এতে শিশুটির মৃত্যুও হতে পারত। তাই ওই দম্পতির অসাবধানতার জন্য শিশুটির প্রায় প্রাণই যেতে বসেছিল। অল্পের জন্য এই যাত্রায় রক্ষা পেয়ে গেল শিশুটি। তাই প্রত্যেক বাবা-মা বা পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের আরও সচেতন ও সাবধানী হওয়া উচিত।

Advertisement
Continue Reading
Advertisement