আন্তর্জাতিক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাক থেকে উদ্ধার ৪৬ মৃতদেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ট্রাকের ভিতর থেকে উদ্ধার হল একসঙ্গে মোট ৪৬টি মৃতদেহ। টেক্সাসের কাছে রেল লাইনের ধার থেকে একটি ট্রাকে তল্লাশি চালানোর সময় একসঙ্গে এতগুলি দেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।
সূত্রের খবর, মৃতরা কেউই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা নয় বলে দাবি পুলিশের। তাঁরা শরণার্থী হতে পারেন সম্ভবত। প্রত্যেকেই অভিবাসী বলে জানা গিয়েছে। তবে তাদের দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে সান আন্তোনিও পুলিশ। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে এতগুলি দেহ উদ্ধারে ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
জানা গিয়েছে, শহরের উপকণ্ঠে দক্ষিণে আপাত নির্জন জায়গায় রেল লাইনের ধারে পার্ক করা ছিল ট্রলার ট্রাকটি। কিভাবে তাদের মৃত্যু সে নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, জোর করে অথবা লুকিয়ে বেআইনিভাবে শহরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল ওই অভিবাসীরা।
আরও পড়ুন: ববিতা সরকারকে ১০ দিনের মধ্যে দিতে হবে বেতন সহ নিয়োগপত্র, নির্দেশ হাইকোর্টের
টেক্সাসের গর্ভনর গ্রেগ অ্যাবোট এই গোটা ঘটনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden) এবং তাঁর সীমান্ত পলিসিকে দায়ী করেছেন। পুলিশের অনুমান সম্ভবত দেহগুলি মেক্সিকো-মার্কিন সীমান্ত দিয়ে মেক্সিকোতে পাচারে চেষ্টা করা হচ্ছিল। যদিও তার আগেই ট্রাকটি ধরে ফেলেন টেক্সাস পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ট্রাকের মধ্যে ১৬ জন জীবিত থাকলেও বাকি ৪৬ জন মৃত ছিলেন। তাঁদের দেহে পচন ধরে গিয়েছে। যার ফলে দেহগুলি এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এদিকে যে ১৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের মধ্যে ৪ জন নাবালকও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘সিটি অফ রিটায়ার্ড’ বিতর্কে রাজ্যপালকে রিটায়ার্ড বলে কটাক্ষ মেয়রের
প্রসঙ্গত, আমেরিকায় শরণার্থী হয়ে প্রবেশ করতে চেয়ে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শরণার্থীরা অভিবাসী হিসেবে মার্কিন মুলুকে বসবাস করতে চান। আবার অন্যদিকে আমেরিকাতে মানব পাচারের ঘটনাও হামেশাই ঘটে চলে। মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে এই ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা অতীতেও ঘটেছে।