দেশের খবর
মুখে অরুচি, তিহাড় জেলের খাবার স্পর্শই করছেন না ২৬/১১-র অভিযুক্ত তাহাউর রানা

২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী তাহাউর রানাকে নিয়ে তিহাড় জেলে উদ্বেগ বাড়ছে। আমেরিকা থেকে প্রত্যার্পণের পর বর্তমানে দিল্লির হাই-সিকিউরিটি তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছে পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনা চিকিৎসক তাহাউর। তবে জেল সূত্রে খবর, রানার খিদে নেই, মুখে অরুচি, নিয়মিত খাবার খেতে চাইছেন না তিনি।
জেলের হাই-রিস্ক সেলে রানাকে রাখা হয়েছে ‘কয়েদি নম্বর ১৭৮৪’ হিসেবে। এই সেলে মোট ৬ জন উচ্চস্তরের বন্দি রয়েছেন, কিন্তু একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ নিষিদ্ধ। বন্দিদের জন্য নির্ধারিত খাবার যেমন সকাল ৭টায় চা, বিস্কুট, ডালিয়া বা রুটি; দুপুরে ভাত, ডাল, সব্জি; সন্ধ্যায় চা ও হালকা স্ন্যাক্স; রাতের খাবারে আবার ভাত, ডাল, সব্জি—সবই দেওয়া হচ্ছে রানাকে। তবে তিনি প্রায় কিছুই স্পর্শ করছেন না।
তাহাউরের নিরাপত্তা ঘিরে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে তিহাড় কর্তৃপক্ষ। ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি-র নজরে রাখা হচ্ছে তাঁকে। রানার জন্য দেওয়া প্রতিটি খাবার আগেই পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাঁর আচরণ স্বল্পভাষী ও নির্লিপ্ত। তবে তিনি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে শুধু দুটি অনুরোধ করেছেন—কিছু বই ও ওয়েস্টার্ন টয়লেট।
তাহাউরকে দেওয়া হয়েছে মোট ৬টি কম্বল, যার মধ্যে ৩টি বিছানার কাজে লাগছে। দেওয়া হয়েছে একটি ফ্যানও। আদালতের নির্দেশে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতে রাখা হবে। ইতিমধ্যেই তাঁর কণ্ঠস্বর ও হস্তাক্ষরের নমুনা সংগ্রহ করে এনআইএ জমা দিয়েছে আদালতে।
তদন্ত সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাহাউরের সরাসরি যোগাযোগ ছিল সাজিদ মীর নামক এক শীর্ষ লস্কর-ই-তইবা জঙ্গির সঙ্গে, যে ২৬/১১ হামলার অন্যতম হ্যান্ডলার ছিল। এছাড়া হরকত-উল-জিহাদ-অল-ইসলামি (হুজি)-র সঙ্গেও তাহাউরের সংযোগ থাকার প্রমাণ মিলেছে।