দেশের খবর
মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতা করে ২৫০ কোটির মালিক
ডিজিটাল ডেস্ক : নীতিন বিজয় অনলাইন ক্লাস যদি আপনি কখনো করে থাকেন তাহলে আজকে আমরা যার কথা বলতে চলেছি, যেন তার ওপরই তৈরি হয়েছে নেটফ্লিক্সের এর ওয়েব সিরিজ ‘কোটা ফ্যাক্টরি’। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের কোটাতে কোটি কোটি টাকা উপার্জনকারী শিক্ষকদের মধ্যে একজনকে নিয়ে আমাদের নজরে যে রয়েছে তার নাম নীতিন বিজয়। কোটার একজন সুপরিচিত মুখ নীতিন বিজয়। সেখানে এক মোশন ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ছাত্ররা অবশ্য তাকে এক নামে ‘এনভি স্যার’ বলতেই বেশী পছন্দ করে।
তিনি কোটার বাকি সমস্ত সমস্ত ধনী শিক্ষকদের মধ্যে একজন যিনি আজ মার্সিডিজ এবং বিএমডব্লিউ চালিয়ে যাতায়াত করেন। মার্সিডিজসহ অনেক নামি দামী গাড়ি রয়েছে নীতিনের। নিজের কোচিং সেন্টার ছাড়াও BYJU-এর JEE আর NEET বিভাগের সহ-সভাপতি পদেও রয়েছেন নীতিন স্যার। আজকের দিনে কোটার কোচিং করিডোরে সাফল্যের আরেক নাম নীতিন।
নীতিনের জন্ম এবং বেড়ে ওঠা, সম্পূর্ণটাই কোটা শহরে। কর্মজীবনের প্রথম দিকে শুরু করেন বাড়ি থেকে 60 কিলোমিটার দূরে একটি ব্যাচকে পড়ানো থেকে। তারপর তিনি 2003 সালে IIT BHU থেকে নিজের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করেন। যদিও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছিলেন তিনি, তবে প্রথম বর্ষ থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন একজন সফল শিক্ষক হওয়ার, আর সেই অধ্যাবসায় আজ তাকে শিরোনামে তুলেছে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষে, তিনি কয়েকজন অংশীদারের সাথে বারাণসীতে নিজের একটি ইনস্টিটিউট শুরু করেন। নিতিন স্যার সেই কোচিং সেন্টার এর নাম রেখেছিলেন ‘কোটা পয়েন্ট’।
দারুণ পড়াশোনা করায় দুটি স্বনামধন্য মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরিও পেয়েছিলেন, কিন্তু শিক্ষকতার প্রতি তার আগ্রহ তাকে আবার কোটায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে। সেখানে পড়াতে শুরু করেন তিনি। এরপরই নীতিন ছাত্র-ছাত্রীদের অতি প্রিয় শিক্ষক হয়ে ওঠেন। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতেও দারুণভাবে তার ফ্যান ফলোয়িং বেড়ে যায়।
2007 সালে জনপ্রিয় বনশাল ক্লাসেস ছেড়ে দিয়ে তিনি নিজের কোচিং ইনস্টিটিউট শুরু করতে সক্ষম হন। কোচিং শুরু করার 2 দিনের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড় এতটাই ছিলো যে তার ক্লাসে বসার জায়গাও ছিলনা। তার প্রতিষ্ঠানের নাম রাখেন ‘মোশন আইআইটি-জেইই’। এই প্রতিষ্ঠানটি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এরপর এই প্রতিষ্ঠানটিতে অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিও শুরু হয়। আজ সেই কোচিং ইনস্টিটিউট এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে “মোশন এডুকেশন প্রাইভেট লিমিটেড”। শুধু কোটা নয়, দেশের অনেক বড় বড় শহরে কাজ করছে মোশন এডুকেশন লিমিটেড।২০২২ সালের অর্থবর্ষ অর্থাৎ আজকের দিনে প্রতিষ্ঠানটির রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট হলো প্রায় 250 কোটি টাকা!