আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানের হিন্দু মন্দিরে হামলার অভিযোগ, পাঁচ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ ২২ জনকে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের অভিযোগ। ঘটনায় মোট ২২ জন অভিযুক্তকে পাঁচ বছরের কারাবাসের কথা শোনাল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (ATC)।
২০২১ সালে পাক অধিকৃত পাঞ্জাব প্রদেশে একটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছিল। সেই ঘটনার দায় হিসেবে বুধবার পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ২২ জন অভিযুক্তকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে লাহোর থেকে প্রায় ৫৯০ কিলোমিটার দূরে রহিম ইয়ার খান জেলার ভং শহরের গণেশ মন্দিরের উপর কয়েকশো লোক আক্রমণ করে।
আরও পড়ুন: কিমের দেশে করোনার থাবা, লকডাউনে অবরুদ্ধ উত্তর কোরিয়া
ওই আক্রমণের কারণ হিসেবে অভিযোগ উঠেছিল বছর ৮-এর এক হিন্দু নাবালক একটি মুসলিম সেমিনারিকে অপবিত্র করেছে। সেই অভিযোগে ওই গণেশ মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছিল। জানা গিয়েছে, বিক্ষুব্ধ জনতা মন্দিরে নানারকম অস্ত্র, লাঠি ও বাঁশ নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। শুধু তাই নয়, মন্দিরে মোতায়েন থাকা পুলিশের উপরও আক্রমণ করেছিল উত্তেজিত জনতা।
ঘটনায় মন্দিরের এক অংশে ভাঙচুর চালানো ও পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। হামলাকারীরা মন্দিরের মূর্তি, দেওয়াল, দরজা এবং বৈদ্যুতিক জিনিসপত্রেও হামলা চালায়। সেদিনের ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন ৮৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় সন্দেহভাজনদের বিচার প্রক্রিয়া গত বছর সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল। চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে শেষ হয় মামলাটি।
আরও পড়ুন: যাত্রীবাহী বিমানে আগুন! ভাইরাল ভিডিও
এই বিষয়ে বুধবার এটিসি আদালতের বিচারক (বাহওয়ালপুর) নাসির হুসেন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। বিচারক ২২ জন সন্দেহভাজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং বাকি ৬২ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য প্রমাণ না থাকায় তাদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন।
শুধু তাই নয়, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে সরকার এর আগে সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫.৩০০ টাকা আদায় করেছিল। যদিও পরে পাক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পাঞ্জাব প্রদেশের ওই গণেশ মন্দিরটি পুনসংস্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: সেনা অভিযানের খবর করতে যাওয়াই হল কাল, মর্মান্তিক পরিণতি সাংবাদিকের
এই বিষয়ে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ”হিন্দুদের গণেশ মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা দেশকে লজ্জিত করেছে। কারণ, ওই হামলা চালানোর সময় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। পাকিস্তানের সংসদও একটি প্রস্তাব গৃহীত করে মন্দিরে হামলার নিন্দা করেছিল।