বাংলার খবর
একই মন্দিরে ২৪ কালী মূর্তির পুজো! অমাবস্যা ছাড়লে সোনার গহনা সহ একই সঙ্গে হয় বিসর্জন!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: একই মন্দিরে ২৪ কালী মূর্তির একইসঙ্গে পুজো হয়। এবং অমাবস্যা ছাড়লে পার্শ্ববর্তী পুকুরে সোনার গহনা সহ একই সাথে তাদের বিসর্জন দেওয়া হয়! মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থানার ঋষিপুরের কালী ‘ডাকাত কালী’ নামে পরিচিত। পুজোর পরে সোনা-রুপোর গহনা সহ কালীকে পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়।
কয়েকশো বছর ধরে এই নিয়ম চলে আসছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রামবাসীদের কথায়, বিসর্জনের পরে পুকুরে নেমে তন্নতন্ন করে খুঁজেও কিছু পাওয়া যায়না। বরং যারা মায়ের গহনা পাওয়ার আশায় পুকুরে নেমেছেন, তাঁরা মায়ের কোপে পড়েছেন। তার পর থেকে মায়ের গহনা খুলে রাখার বা পুকুরে নেমে খোঁজার কেউ সাহস দেখায়নি। ঋষিপুরের কালীপুজো প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, একই বেদিতে একাধিক কালীপুজো। একটিই মূল কালীমূর্তি। বাকিগুলো মানতের কালী। মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে থেকেও প্রতিবছর অনেকেই মানতের কালী পুজো দিতে আসেন। গত বছর একই বেদিতে ২২টি কালী মূর্তির পুজো হয়েছিল।
এই বছরে ২৪টি (মূল কালী ও ২৩ টি মানতের কালী) কালী মূর্তির পুজো হয়েছে। গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা জানিয়েছেন, সর্বাধিক একই বেদিতে ৩৩টি কালী মূর্তির পুজো হয়েছিল। তবে এখানকার পুজো ঠিক কবে শুরু হয়েছিল, সেই বিষয়ে সঠিক কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। তবে গ্রামবাসীদের দাবি ৭০০-৮০০ বছর আগে পুজো শুরু হয়। পুজো কে শুরু করেন, তা নিয়ে দ্বিমত থাকলেও দেবীর মাহাত্ম্য নিয়ে কোনও সংশয় নেই। এখানে পুজোর পদ্ধতি অভিনব। একজন ভট্টাচার্যমশাই থাকেন এবং প্রতিটি দেবীর সামনে একজন করে পুরোহিত থাকেন। ভট্টাচার্য মশাই মন্ত্র উচ্চারণ করেন। সেই মন্ত্র শুনে অন্যান্য পুরোহিতরা মন্ত্রপাঠ করেন।