নন্দীগ্রামে কৃষি আধিকারিক নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত ২ জনের পুলিশি ও ৫ জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নন্দীগ্রামে কৃষি আধিকারিককে নিগ্রহ করার ঘটনায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফের নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে অভিযুক্তদের নিয়ে আসা হল হলদিয়া আদালতে। গত শুক্রবার নন্দীগ্রামের হরিপুর কিষান মান্ডিতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা।

জনরোষের শিকার হয়েছিলেন কৃষি আধিকারিক। এরপর শনিবার শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য মেঘনাদ পাল সহ ৭ জন বিজেপির প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৩০৮, ৩৫৩, ৩৩৩ ছাড়াও আরও অন্যান্য ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকেই নন্দীগ্রামে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধ পালিত হয়। নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মেঘনাদ পাল ও আসিফ ভূঁইয়াকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকি পাঁচ জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে হলদিয়া মহাকুমা আদালত।

বিজেপির তমলুক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক অভিযোগ করেছেন, ‘সেদিন জনরোষের শিকার হয়েছিলেন কৃষি আধিকারিক। তিনি ক্যামেরার সামনে প্রকাশ্যে বলেছিলেন তাঁর কোনও চোট-আঘাত লাগেনি। তিনি নিজে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি।অথচ অন্য এক ব্যক্তির একটা চার লাইনের এফআইআর- এর ভিত্তিতে পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, আধিকারিককে মারধর এবং আঘাত সহ আরও অন্যান্য অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ পুলিশে এদিন আঘাত লাগার সপক্ষে কোনও মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শাসকদলের নির্দেশেই পুলিশ এই কাজ করেছে।’