ভাইরাল খবর
মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি ও হড়পা বানে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড, নৈনিতালে ১৬ জনের মৃত্যু
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী গত তিনদিন ধরেই উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাঘাট এমনকি বাড়িতেও জল ঢুকে পড়েছে। যার জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে গতকালই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চারধাম যাত্রায় পূণ্যার্থীদের আপাতত যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেখানে আটকে থাকা পর্যটকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরানোর বন্দোবস্ত করছে সরকার।
মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে নৈনিতালের রামগড়ের একটি গ্রামে ধস নেমেছে। ধসের নীচে বেশ কয়েক জনের আটকে থাকার আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন। নৈনিতালের স্পেশাল পুলিশ সুপার প্রীতি প্রিয়দর্শিনী জানিয়েছেন, বেশ কয়েক জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ধসের নীচে কেউ আটকে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে উদ্ধারকারী দল। উত্তরাখণ্ডের জলাধারগুলি জলে ভরে যাওয়ায় নানক সাগর ও উধম সিং নগর জলাধার থেকে জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। তার ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে হড়পা বানের কবলে পড়ে নৈনিতালে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বহু মানুষ নিখোঁজ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে প্রশাসন। তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে নৈনিতালের জল উপচে ঢুকে পড়েছে শহরে। রাস্তা দিয়ে বয়ছে প্রবল জলের স্রোত। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সেতু। আটকে থাকা বাসিন্দাদের উদ্ধারের কাজ শুরু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
নামানো হয়েছে সেনাবাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টারও। নদীর জল ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। নদী তীরবর্তী এলাকার বেশ কিছু বাড়ি নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। চালথি নদীর উপরে একটি নির্মীয়মান সেতুও ভেসে গিয়েছে। জলে ডুবে গিয়েছে নৈনিতালের ম্যাল রোড। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। নৈনিতাল লাগোয়া একটি হাসপাতালে ফাটল পর্যন্ত ধরেছে। কোনও ঝুঁকি না নিতেই রোগীদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থাও করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘বাড়ি, সেতু ভেঙে পড়েছে। নৈনিতালে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।’